ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপাকে
আপডেট সময় :
২০২৪-১২-০৬ ১৬:৪৪:৫৭
ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপাকে
মাহফুজ রাজা,স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জেঁকে বসেছে শীত। ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারপাশ।রাস্তায় দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ী চলতে দেখা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার, ক্ষেতে-খামারে,মাঠে ঘাটে প্রায় জনশুন্য।এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়তে থাকে কুয়াশা,কাথাঁ-কম্বল জড়িয়ে শীত থেকে বাচার চেষ্টা মানুষের,প্রাণীকুলে ব্যাপক অস্তিরতা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। চলতে-ফিরতে খুব কষ্ট হয় অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর।উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়,অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে অতিরিক্ত শীত থেকে মুক্তির পথ খুঁজে নিচ্ছে।শীতের শুরুতেই যদি প্রকৃতি এতো বরফগলা ঠান্ডার সাথে আলিঙ্গন করে তবে বাকি সময়টা শীতের ভয়াবহতার কথায় জানান দেয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এদিকে শুরু হয়েছে বোরো আবাদের মৌসুম,অন্যদিকে শীতের সবজি লাউ,ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, মটরশুঁটি, গাজর, ধনিয়াপাতা ইত্যাদি এছাড়াও ব্যপক হারে মাঠে মাঠে ভূট্টার আবাদ, ঘন কুয়াশার কারণে তাঁরা কাজে যেতে পারছেন না। তবে কয়েকটি এলাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যেই নিরুপায় হয়ে মাঠে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সী লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের কৃষক জাকির মিয়া জানান, প্রচণ্ড শীতে ঘর হতে বের হওয়াই মুশকিল। তা ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে ১০ হাত দূরেও কিছু দেখা যায় না। কৃষিকাজের জন্য ভোরবেলা উত্তম সময় হলেও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো আবাদেও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সাহেবের চর গ্রামের বোরো চাষি শাহ নেওয়াজ জানান, তীব্র শীতের কারণে ভোরবেলা জমিতে কাজ করার মতো লোক পাওয়া যায় না। পরিচিত কাজের লোকজন যাঁরা আছেন, তাঁদের বললেও শীত ও কুয়াশার বাহানায় কাজে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে কুয়াশা কমার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
রোকন মিয়া,শাহ আলম,বিপুলমিয়াসহ বেশ কয়েকজন খেটে খাওয়া মানুষ বলেন, শীত এবং কুয়াশায় হাতই মেলা যায় না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স